ধর্ষিতার মূত্র খেতে হবে শুনে আত্নহত্যা করলো যুবক!
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। সেই অভিযোগ আদৌও সত্যি কিনা, তা তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব পুলিশের। অভিযুক্ত যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে শাস্তি দেবে আদালত। যে কোনও সভ্য দেশে তো তেমনটাই হওয়ার কথা। তবে কাশ্মীরের বাসিন্দা ফজল হোসেনের ক্ষেত্রে অবশ্য এরকম কিছু হয়নি।
স্থানীয় এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ফজলের বিরুদ্ধে। তাকে নির্যাতিতার মূত্রপান করার শাস্তি দিয়েছিল পঞ্চায়েত। অপমানে একটি হ্রদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বছর পঁচিশের ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম তারগেনে।
জানা গেছে, রোববার তারগেন এলাকার একটি হ্রদে ফজল হোসেনের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় মেষপালকরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যা করার আগে পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে মোবাইলে একটি ভিডিও রেকর্ড করে ফজল।
ভিডিও-তে ফজল জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায়, তাকে স্থানীয় এক যুবতীর মূত্রপান করার নিদান দিয়েছিল পঞ্চায়েত। ভিডিও-তে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে সে। রাজৌরি জেলার পুলিশ সুপার যুগল মানহাস জানিয়েছেন, ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সপ্তাহ খানেক আগে তানগের গ্রামেরই এক যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ফজল হোসেনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অবশ্য থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। বরং সুবিচারের আশায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবার। গ্রামে সালিশি সভা বসে। সালিশি সভায় অভিযুক্ত ফজস হোসেনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হয়। কিন্তু, রাজি না হওয়ায়, অভিযুক্তকে নির্যাতিতা ওই যুবতীর মূত্রপান করার নিদান দেন গ্রামের মাতব্বররা। নিজের মানসিকভাবে প্রস্তুত করার জন্য দু’দিনের সময় চেয়ে নেয় ফজল। এরইমধ্যেই রোববার স্থানীয় একটি হ্রদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।